যমজ দুই ছেলেকে জীবন সাহেব এক সাথে বিয়ে দিতে চাইলেও জীবন সাহেবের স্ত্রী বাঁধ সাজে। বড় ছেলে বিদ্যুৎ নিয়ে কাজ করে। ছোটটি পাড়া ঘুরে বেড়ায়। টিপুর বৌর সাথে তার খাতির ভালো। ভাবী ভাবী ডাকে, হেসে হেসে কথা বলে।
আমিন বিদ্যুস্পৃষ্টে মারা গেলে সদ্য বিধবা বৌটা খুব কান্না করেছিলো। জীবন সাহেব বৌমাকে ছোট ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চাইলে গ্রামের বয়সীদের সাবাস সমর্থন পেলেও নিজ স্ত্রী বাঁধ সাজে। পরে নমনীয় হয়। বর মরলেও ঘর ভাঙবে না জানতে পেরে অবনী স্বস্তি পায়।
কিন্তু শামিন টিপুর বৌকে নিয়ে পালিয়ে যায়, টিপুর বৌ অবনীর চেয়ে না ভালো সৌন্দর্যে, না উচ্চতায়। অবনী সেদিন দীর্ঘশ্বাস কেটেছিলো, স্বামী মরলেও অত জোরে সে দীর্ঘশ্বাস কাটেনি।
বাবা আর মাকে মিথ্যা বলে বাইরে যাওয়া, ভালো লাগার সাথে ঘুরে বেড়ানো আর একান্ত সময় কাটানো রুহির নিত্যকার ঘটনা। সাবধান বাবা মার সাবধানী মেয়ে সব বুঝে চললেও অঘটন ঘটে যায়। ভালো লাগার সাথে ভালো লাগা মুহূর্তে একটু ভুল হয়ে যায়। ভেবেছিলো সবার অলক্ষ্যে যে স্রষ্টার লক্ষ্যে ক্ষমা প্রার্থে অনবরত অপরাধ করে সুখ নিচ্ছিলো সে স্রষ্টার বিনীতে ফুলদানিতে ফুল-ফল আসবে না। কিন্তু না। দুটি প্রাণে ভয় বাঁধলো বাসা, কি করবে না করবে ইতস্ততে দিন মাস কাটে। অনাগত দিন আগত ও গত হয়, বিকার মেয়ের আকার বদলাতে থাকে। রুহি প্রিয়শ্রীর সর্বশ্রীতে মাতৃত্ব গন্ধ মৌ মৌ করলেও শ্বাপদমতে কুশ্রী সিদ্ধান্তটাই নিলো।
নদী-সঙ্গমে নর-নারীর ভীড়। ভাসছে সুসময়ের ফল!
নদী-সঙ্গমে নর-নারীর ভীড়। ভাসছে সুসময়ের ফল!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন নবাব আব্দুল লতিফ হলে আমি আর মাজহারুল এক রুমে থাকতাম। মাজহারুলের ল্যাপটপ ছিলো, নাটক দেখতাম, এসাইনমেন্ট কিংবা প্রেজেনটেশনের কাজ করতাম।
একদিন আমার হাতের চাবির ছড়ি হারিয়ে গেলো। ব্যাগের চাবি, ট্রাংকের চাবি, ড্রয়ারের চাবি, রুমের চাবি একত্রে হারিয়ে গেলে কত বিড়ম্বনা যাদের অন্তত একটি চাবি হারিয়েছে তারা জানে। পাশের রুমে খুঁজলাম, বাথরুমে খুঁজলাম, সকাল থেকে যার যার রুমে গিয়েছি সেখানেও খুঁজলাম। কোথাও পেলাম না। রুমের অতিরিক্ত চাবি দিয়ে কাজ চালাতে লাগলাম।
হঠাৎ একদিন মাজহারুলের ল্যাপটপ চুরি হয়ে গেলো। কিন্তু রুমের তালা ভাঙা নেই। স্বভাবতই মাজহারুলের সন্দেহের নজর আমার উপর পড়লো। কিন্তু আমি মাজহারুলের আগে ক্যাম্পাসে গেছি, রুমে এসেছি মাজহারুলের পরে। চুরি হলো কি করে, আবার রুমের তালা বা দরজায় কোনো কিছুর আঘাতের চিহ্ন নেই। হলের বড় ভাইয়েরা আমাকে চোর সাব্যস্ত করলো। জরিমানা দিয়ে রক্ষা।
সেই চোর কালিমা এখনো আমার চরিত্রে আষ্টেপৃষ্টে লেগে আছে। একটি চাবি হারিয়ে গেলে বাকি দুটি চাবি ব্যবহার করতে নেই।

মোহনার চরিত্র
=============================
এইচএসসি পাশের পর যে যার যোগ্যতায় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে গেলাম। নতুন নতুন বন্ধু আর পরিবেশ সবার জীবনে আসলো। পুরাতন বন্ধুগুলোর স্থানে নতুন বন্ধুরা জায়গা পেলো। আমাদের কলেজ জীবনের বন্ধুদের মধ্যে দুরত্ব স্বাভাবিক কারণে বাড়লেও আমার সাথে মোহনা আর সাব্বিরের সম্পর্ক কলেজ জীবনের মতই অটুট থাকলো। মোহনা প্রায় প্রায় বলে, তোর ইউনিভার্সিটির কোন বন্ধুর সাথে আমার প্রেমের ব্যবস্থা করে দে না! স্বপন তার ইউনিভার্সিটির এক ছেলের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। সে ছেলের সাথে আমার প্রেম জমে ক্ষীর। তুই আমার প্রিয় বন্ধু, তোকে বলতে দ্বিধা নেই। প্রেম তো না টাইম পাস করবো।
আমি মোহনার কথা শুনে হতবাক। মোহনার নাম উল্লেখ না করে ব্যাপারটি সাব্বিরকে বললাম। সাব্বির বললো, আমার নম্বরটা তোর সেই বান্ধবীকে তবে দে।
আমি মোহনার এ ব্যাপারটা সাব্বিরকে কি করে বলি? ওর পিড়াপিড়িতে বললাম, বন্ধু সে মেয়ে আর কেউ না, আমাদের বান্ধবী মোহনা। প্রেমের নামে বিভিন্ন ছেলেদের সাথে টাইম পাস করে এখন।
একদিন আমার হাতের চাবির ছড়ি হারিয়ে গেলো। ব্যাগের চাবি, ট্রাংকের চাবি, ড্রয়ারের চাবি, রুমের চাবি একত্রে হারিয়ে গেলে কত বিড়ম্বনা যাদের অন্তত একটি চাবি হারিয়েছে তারা জানে। পাশের রুমে খুঁজলাম, বাথরুমে খুঁজলাম, সকাল থেকে যার যার রুমে গিয়েছি সেখানেও খুঁজলাম। কোথাও পেলাম না। রুমের অতিরিক্ত চাবি দিয়ে কাজ চালাতে লাগলাম।
হঠাৎ একদিন মাজহারুলের ল্যাপটপ চুরি হয়ে গেলো। কিন্তু রুমের তালা ভাঙা নেই। স্বভাবতই মাজহারুলের সন্দেহের নজর আমার উপর পড়লো। কিন্তু আমি মাজহারুলের আগে ক্যাম্পাসে গেছি, রুমে এসেছি মাজহারুলের পরে। চুরি হলো কি করে, আবার রুমের তালা বা দরজায় কোনো কিছুর আঘাতের চিহ্ন নেই। হলের বড় ভাইয়েরা আমাকে চোর সাব্যস্ত করলো। জরিমানা দিয়ে রক্ষা।
সেই চোর কালিমা এখনো আমার চরিত্রে আষ্টেপৃষ্টে লেগে আছে। একটি চাবি হারিয়ে গেলে বাকি দুটি চাবি ব্যবহার করতে নেই।

মোহনার চরিত্র
=============================
এইচএসসি পাশের পর যে যার যোগ্যতায় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে গেলাম। নতুন নতুন বন্ধু আর পরিবেশ সবার জীবনে আসলো। পুরাতন বন্ধুগুলোর স্থানে নতুন বন্ধুরা জায়গা পেলো। আমাদের কলেজ জীবনের বন্ধুদের মধ্যে দুরত্ব স্বাভাবিক কারণে বাড়লেও আমার সাথে মোহনা আর সাব্বিরের সম্পর্ক কলেজ জীবনের মতই অটুট থাকলো। মোহনা প্রায় প্রায় বলে, তোর ইউনিভার্সিটির কোন বন্ধুর সাথে আমার প্রেমের ব্যবস্থা করে দে না! স্বপন তার ইউনিভার্সিটির এক ছেলের সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। সে ছেলের সাথে আমার প্রেম জমে ক্ষীর। তুই আমার প্রিয় বন্ধু, তোকে বলতে দ্বিধা নেই। প্রেম তো না টাইম পাস করবো।
আমি মোহনার কথা শুনে হতবাক। মোহনার নাম উল্লেখ না করে ব্যাপারটি সাব্বিরকে বললাম। সাব্বির বললো, আমার নম্বরটা তোর সেই বান্ধবীকে তবে দে।
আমি মোহনার এ ব্যাপারটা সাব্বিরকে কি করে বলি? ওর পিড়াপিড়িতে বললাম, বন্ধু সে মেয়ে আর কেউ না, আমাদের বান্ধবী মোহনা। প্রেমের নামে বিভিন্ন ছেলেদের সাথে টাইম পাস করে এখন।
এ কথা শুনতেই সাব্বির চুপ হয়ে গেলো। মোহনার সাথেই তো সে গত দু বছর প্রেম করছে।

পাওয়ার বিড়ম্বনা
=========================
একবার পথে পাঁচশত টাকার নোট কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। এক বন্ধুকে বলতেই সে বলেছিলো, 'মিষ্টি খাওয়া'।
মিষ্টি খেতে দিয়েছিলাম। অতি উৎসাহে আরো এক বন্ধুকে বলেছিলাম। সেও বলেছিলো, 'মিষ্টি খাওয়াবি না'?
খাওয়ায়েছিলাম। মিষ্টি খাওয়া দুই বন্ধু অন্য বন্ধুদের বলে দেয়াতে তারা সদলে এসে ধরেছিলো। পাওয়া পাঁচশত টাকা তো গিয়েছিলোই, পকেট থেকে আরো দু'শত টাকা গিয়েছিলো। বাড়ি এসে মাকেও বলি, 'আজ পাঁচশত টাকা পেয়েছি, মা'।
মা বললেন, 'পাওয়া টাকা নিতে নেই, শনি দেবতার মন্দিরে দিয়ে আস্'।
পড়েছিলাম তো বিপদে ? কার মুখ থেকে শুনে পরদিন এক কাকা এসে বললেন, 'টাকাটা আমার গাঁট থেকে পড়েছিলো, দিয়ে দে, বাবা'।
মাকে গিয়ে বলতেই মা পাঁচশত টাকা দিয়ে দেন। মা ভেবেছিলেন টাকাটা আমি শনি দেবতার মন্দিরেই দিয়েছিলাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন